BHISMADEB BARAI
on 2 years ago
কবিতা- পিতা
পিতা
-ভীষ্মদেব বাড়ৈ
(জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি)
তুমি উঠতে-উঠতে পাহাড়ের শীর্ষে উঠেছো পিতা;
আমাদের দিব্যদৃষ্টিকে তুমি ছাড়িয়ে যেতে যেতে তুমি এক অনন্য উচ্চতায়;
তোমার তুলনা, তোমার পরিধির বিশালতা, তোমার হিমালয়ের অধিক উচ্চতা-
এ শুধু তোমার তুলনা তুমি।
হে পিতা- কি নেই তোমাতে?
কি নেই তোমার রত্ন করোটিতে?
কি নেই তোমার আত্ম-সিংহাসনে?
কি নেই তোমার অস্তি-মজ্জায়?
হে জনক- তুমি বহতা পলি মাটি ভরিয়েছো অবিরাম শস্য-দানায়
তুমি নদীর স্বাধীনতায়,
প্লাবনের পুষ্প হয়ে দুঃখীর উৎরোল সন্ধ্যা ভরিয়ে দিয়েছো তোমার নিজস্ব ভৈরবে-
যেখানে দুঃখ নেই
যেখানে দুঃখী নেই
যেখানে উঁচু নেই নিচু নেই
ভেদ নেই- ভেদাভেদ নেই;
আছে শুধু তোমার বিন্যস্ত মহাকাব্য-
‘ভায়েরা আমার- বোনেরা আমার।'
তোমার মধ্যে কতোটা নদী ছিলো
কতোটা আকাশ ছিলো
কতোটা সাগর ছিলো
কতোটা পাহাড় ছিলো আজ অব্দি, কেউ জানে না পিতা!
মহাসমুদ্রের পরিধি কে কবে ফিতেয় মেপেছে?
কে কবে চোখে দেখে মহাশূন্য গতি?
তুমি হিমালয়, তুমি হিমালয় তুমি হিমালয় নদী!
হে জন্মদাতা- কি করে এক লহমায় একটি স্বাধীন পতাকা দিলে?
কি করে একটি আপোষহীন রাষ্ট্রের জন্ম দিলে?
কি করে পতাকার দ্রোহের মিছিলে একটি ভাষণ একটি সমুদ্র হলো?
কি করে- ধন্বন্তরী বিশ্ব-কর্মার মতো একটি উলট-পালট দিব্য ভাষণে,
একটি অমোঘ রাত্রিকে ঝকঝকে দিন করে দিলে?
‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।'
আমি জানি জনক, এ শ্বাশত পংক্তি মালা- জাতির জীবনে শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ।
আমি জানি, তোমার বিনির্মিত তোমার জীবনের ‘শ্রেষ্ঠ পতাকা’
একান্ত আপন করে তোমার জাতির কাছে রেখে গেল পিতা।
তুমি নিঃশব্দে অনির্বাণের পথে চলে গেলে;
তুমি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি হয়ে শুধু নিঃশব্দে একাকী চলে গেলে পিতা!
তুমি নিঃশব্দে িএকাকী চলে গেলে।
POST COMMENT
For comments You need to login first. Login
COMMENTS(0)
No Comment yet. Be the first :)