ALL POSTS

আমি মুজিব বলছি

সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে অসহ্যের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে;
আমার বুকের খাটে ছাপান্ন হাজার বর্গমাইল জুড়ে -
একটি গাছ, ফুল, ফল, পত্র, পল্লবে সাজিয়েছিলাম;
সেই বাগানের একটাই সংগীত-
আমার সোনার বাংলা
আমি তোমায় ভালবাসি...

তোমরা দেখনি আমার বুকের তাজা গোলাপটা -
বাংলার মাটিতে রেখে এসেছি
শেষ রক্ত বিন্দু তোমাদের দিয়ে এসেছি
ফুটিয়েছি রক্তে সোনার বাংলা।

বুকটা ঝাঁঝরা করেছো,
নিঃশ^াসের গ্রন্থিগুলো উপড়ে ফেলেছা
অবাক বিস্ময় দুটী চোখে;
আমিতো পিতা পারিনি অনেক কিছু-
বাগানের সব ফুলে কি ফুল হয়
সব সন্তান কি সন্তান হয় - বলো?

এক ঝাঁক বুলেটে হৃৎপিন্ডটা দুমড়া মুচড়ে দিলো;
শাণিত রক্তের ঢলে ভেসেছিলাম, স্বজনের লাশের পাশে -
ভায়োলিনের বেদনা বানে বিদ্ধ ছড়ের মতো।
বুকের তপ্ত শোণিত ধারায় একেছিলাম বাংলার পতাকা।
তোমাদের দেখে ভেবেছিলাম এও কি সম্ভব -
এই কি ছিল চাওয়া?

তোমাদের দেখে ভেবেছিলাম কি বোকা তোমরা!
আমার বুকে বেজেছিল সেদিন বিষন্ন বেহাগ
তোমরা ভাবোনি, তমালের তমাল ছায়ায় মেহগনির বনে, শস্যের ঘ্রাণে
সবুজ বনানীর প্রান্ত ছুয়ে আর রাখবোনা পদচিহ্ন
বুকের মাঝে থাকবে, মাউথ অর্গানের একটাই সুর -
ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা ...

 

হৃদয় চিলেকোঠায় নিঃশর্ত ভালবাসার ভাসান,
তখনো বুকটা থাকবে মুক্তির জ্যোতিতে ভাস্বর।
ভাবতে বড় কষ্ট আমি কাদের লালন, পালন করেছি -
নষ্ট ভাগাড়ের বাসিন্দা, বুকে স্বজন পীড়নের কষ্ট
স্বাধীনতার লজ্জায় আকন্ঠ নিমজ্জিত বুকের উত্তাল যমুনায়
পদ্মফোটা কষ্ট, শকুনি থাবায় লুন্ঠিত স্বাধীনতা
এই কি ছিল চাওয়া?

আমি মুজিব বলছি, আমিতো দেখেছি ধর্ষিতা রমনীর আর্তনাদ
বুকের বাংকারে উত্তাপ ভরা ২৬ মার্চ, শত শতাব্দীর নীল অন্ধকার
কোটি কোটি হৃদয়ের স্বপ্নের ছিন্ন, ভিন্ন, শরীর
তাইতো আমি মুজিব।

  • SHARE :

CATEGORIES

POST COMMENT

For comments You need to login first. Login

COMMENTS(0)

No Comment yet. Be the first :)